সম্পাদক অমিত হাবিব। বার্তাকক্ষের এক নেতা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংবাদিক সমাজে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে।
সহকর্মীরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে অসুস্থ হয়ে কর্মস্থল থেকে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না তার। গত ২১ জুলাই দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিবকে প্রথমে নেয়া হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। ওই দিন সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয় বিআরবি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। তারপর ২৫ জুলাই থেকে ভর্তি ছিলেন ন্যাশনাল নিউরো সাইন্স হাসপাতালে। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, রক্তনালী ছিড়ে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার।
সহকর্মীরা আরও জানান, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক মানুষ ছিলেন অমিত হাবিব। কর্মস্থলে সহকর্মীদের কাছে ছিলেন বড় ভাইয়ের মতো।
অমিত হাবিবের জন্ম যশোরে ১৯৬৪ সালে। যশোর এমএম কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেননি। সে সময় বিচিন্তা, পূর্ভাবাস ও প্রিয় প্রজন্ম নিয়মিত লিখতেন।
১৯৮৭ সালে দৈনিক খবরে নিয়োগ পান সহ-সম্পাদক পদে। ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় যোগ দেন সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে। পরের বছর চলে যান দৈনিক ভোরের কাগজে। পদোন্নতি পান যুগ্ম বার্তা সম্পাদক পদে। পরে হন বার্তা সম্পাদক। ২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। পত্রিকাটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে।
এরপর ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। ২০০৯ সালে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন দৈনিক কালের কণ্ঠে। পরে পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক হন। ২০১৮ সালে তার সম্পাদনায় যাত্রা শুরু করে দৈনিক দেশ রূপান্তর।