চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ১০০ কোটির বেশি ডলার বিক্রি হয়েছে। বুধবার কয়েকটি ব্যাংকের কাছে আরো নয় কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে প্রতি ডলারের দাম রাখা হয়েছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা।
এ নিয়ে রিজার্ভ থেকে এ পর্যন্ত মোট বিক্রি হলো ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই হারে ডলার বিক্রির কারণে আরো কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪৯ কোটি ডলার। যা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
এদিকে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯৪ পয়সার মধ্যে। তবে এখনো লাগামহীন অবস্থা খোলা বাজারে।
বুধবার ১১১ টাকা থেকে ১১২ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও আজ বৃহস্পতিবার মানি এক্সচেঞ্জে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
উচ্চ আমদানি ব্যয়ের কারণে কয়েক মাস ধরে অস্থির বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। এ সপ্তাহে খোলাবাজারে ডলারের দাম ছাড়ায় একশ বারো টাকা। ব্যাংকেও ডলারের দাম ছাড়ায় একশ টাকা।
ডলারের এমন উর্ধ্বগতিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যসহ জিনিসপত্রের দাম। আঘাত এসেছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায়।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে ডলারের সরবরাহ বাড়ানো ও আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে খরচ কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।