বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম বাড়লেও সুফল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ না থাকায় ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। চীনের বাজারে চামড়া পাঠানো গেলেও সেখানে বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেকের কম মূল্যে। বিষয়টি সুরাহা করার জন্যে দফায় দফায় সরকারের কাছে দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরীতে এখন আসছে চামড়া। কয়েক দিন পর অন্য জেলা থেকে চামড়া পাঠানো শুরু করবেন আড়তদারা। ঈদের দিন বিকাল থেকেই ট্যানারিগুলোতে চলছে সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম।
গেল বারের চেয়ে এবার চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ছে। তবে লবণসহ বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্যের দাম বাড়ায়, সংরক্ষণ খরচ এবার ঊর্ধ্বমূখী।
ভুলুয়া ট্যানারীর চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেছেন, চামড়ায় লবণ লাগাতে আগের চেয়ে খরচ বেশি। মৌসুমি শ্রমিকদের পেছনেও খরচ এবার বেশি। আমাদের হাতে চামড়া আসা পর্যন্ত খরচটা অনেক বেড়ে যায়। তখন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হই।
আন্তর্জাতিক মানের সনদ না থাকায় ইউরোপের বাজারে চামড়া রফতানির সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইউরোপে প্রতি বর্গফুট চামড়া দুই ডলার ৮০ সেন্ট। চীনে রফতানি করার সুযোগ থাকলে, দাম বেশ তলানিতে। প্রতি বর্গফুটের দাম ৯০ সেন্ট থেকে ১ ডলার ২০ সেন্ট।
এ ব্যাপারে ঢাকা হাইড এন্ড স্কিনের জিএম ড. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, আগে আমরা যেই চামড়া ২ ডলার বিক্রি করতাম সেটি এখন বিক্রি করতে হয় ১ ডলার, ৭০ সেন্ট কিংবা ৮০ সেন্টে। এছাড়া এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট না থাকায় আমাদের ইউরোপের নামকরা ব্র্যান্ড যেমন শুচি, ওয়ালমার্ট এগুলো আমাদের এখানে আসতেছে না।