নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমিদস্যু, প্রতারক ও নারী নির্যাতনকারী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বোখারীকে দ্রুত গ্রেফতার ও তার বিচারের দাবি জানিয়েছে নির্যাতিত ও ভূমিহীন ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে শহীদ আল বোখারীর তত্ত্বাবয়ধানে বান্দরবানে লামা উপজেলার, ডলুছড়ী এলাকায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, জালিয়াত ও প্রতারণার চক্রে প্রধান কার্যালয় হিসেবে গড়ে তুলেছে।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘অসহায়দের জমি দখল ও মামলা-হামলা হুমকির প্রতিবাদে’ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু, ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে মো. আব্দুল গফুর, মো. আশরাফ আলী, মো. খলিলুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবু রায়হান, মো. নাসির উদ্দিন, রহিমা বেগম, রাফিজা বেগম, মো. শাহা মিয়া, মো. আবুল কাশেম, মো. জসীম উদ্দিন, সালমা বেগম, মো. ইসমাইল, মো. আব্দুল রশীদ প্রমুখ।
হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউতে মোমবাতি প্রজ্বলন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলেন, লামা ও বান্দরবান এলাকায় শহীদ আল বোখারীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর জিম্মি থেকে আমরা বাঁচতে ও নিরাপদ বসবাস করতে চাই। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারি না। এমতবস্থায় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগ করে তারা বলেন, শহীদ আল বোখারী নিজেকে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান প্রচারক বলে দাবি করেন। তিনি একজন মহাপ্রতারক ও ধর্ম বিদ্বেষী। তার বৈজ্ঞানিক কোয়ান্টাম মেডিটেশন একটি মহাপ্রতারণা। লামার ডলুছড়ী এলাকার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যে অফিস আছে তাদের তত্ত্বাবয়ধানে প্রায় এক হাজার বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। আজকে আমাদের প্রশ্ন- যাকাতের টাকায় সুদের ব্যবসা হয় কিভাবে? কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এতো টাকা আসে কোথায় থেকে? সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে আমাদের আহ্বান অবিলম্বে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয় ও ব্যয়ের খাত তদন্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সংহতি জানিয়ে নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মানবতার নামে নানা অনিয়ম-দুুনীতির সাথে জড়িত। এটা খুবই দুঃখজনক। মানবতার কথা বলে মানুষকে আঘাত করাটাও বাটপারি। আজকে কথিত মানবতার নামে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সরকারের নজরদারিতে আনা উচিৎ। অবিলম্বে সরকার ও প্রশাসনকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগগুলোর তদন্ত করা এবং তাদেরকে জরুরি নিরাপত্তা দেয়ার আহ্বান জানান এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার এই মহাসচিব।