এ বছরও কোরবানিতে দেশে পশুর সংকট হবে না, চাহিদার তুলনায় প্রায় ২৪ লাখ বেশি পশু আছে বলে দাবি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিকে, পর্যাপ্ত পশু থাকায় দেশের বাইরে থেকে পশু আনা বন্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।
আর সপ্তাহ দুই পরেই কোরবানির ঈদ, তাই সারাদেশে কি পরিমাণ কোরবানির উপযোগী পশু আছে তা তুলে ধরাসহ খামারিদের মতামত জানাতেই মতবিনিময় সভা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মতামত তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।
খামারিরা অভিযোগ করেন, কোরবানির ঈদে পশু কেনাবেচায় হাসিল নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয় তাদের। এছাড়া সড়কে চাদাবাজি বন্ধের উপর জোর দেন খামারিরা।
মন্ত্রী জানান, এবার অনলাইনে পশু কেনার পর, ছবির সাথে সেই পশুর মিল না থাকলে বিক্রেতা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে।
তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পশুর মোটাতাজা ছবি আপলোড করে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে বিক্রয় করা হলো, কিন্তু কেনার পর সরবরাহ করা পশুর সঙ্গে অনলাইনে আপলোড করা পশুর মিল না থাকলে, ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে পারবেন।
এছাড়া, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি পালনে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, মহাসড়কে চলাচলে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যানজটের কারণে পশু আসতে না পেরে হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মহাসড়কে পশু পরিবহনে সমস্যা কিংবা চাঁদাবাজির তথ্য ১৬৩৫৮ হটলাইনে জানানো যাবে।
গতবছর কোরবানির হাটে উঠেছিল ১ কোটি ১০ লাখ পশু। এর মধ্যে ২৩ লাখ পশু বিক্রিই হয়নি। এবার দেশের ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার পশুর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি। ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫৯৭, এছাড়া উট, দুম্বা ও অন্যান্য পশুর সংখ্যা ১ হাজার ৪০৯টি।