পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সেমিনারে তিনি বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সময় ১০ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ছিল ১৫ টাকা। ১৯১০-১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে খরচ ছিল ৪ কোটি রুপির বেশি। সেই অর্থে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ করতে এখন লাগতো ১৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। আর যদি পদ্মাসেতুর দৈর্ঘ্যের সমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ করতে হতো, তবে এখন লাগতো ৫৮ হাজার কোটি টাকা। তাও শুধু রেলব্রিজ।
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, মূল সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। নদী শাসনে ৮ হাজার কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে লেগেছে ২৬৯৮ কোটি টাকা। সর্বমোট, ২৮ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি খরচ হয়েছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তো লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে। তবু বিভ্রান্তি ছড়াতে ভুলছে না। মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই সেতু কি কারও বাপের সেতু? না, এটি দেশের জনগণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কাজেই এই সেতু মির্জা ফখরুলের জন্যেও। কিন্তু যারা এক সময় বলেছিল এই সেতুতে উঠবেন না, তাদের এই সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত। তবে তারা অবশ্যই এই সেতুতে উঠবেন, কিন্তু তার আগে তাদের বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মাসেতু বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের সক্ষমতার প্রতীক। সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে এমন একটি মেগা প্রজেক্ট করা কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব। শুধু সরকারের বাইরে নয়, সরকারের ভেতরে থেকেও অনেকে দ্বিধান্বিত ছিলেন। যার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বেগ পেতে হয়েছে। যারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন তারা অনেকেই চুপ হয়ে গেছেন, অনেকেই সুর বদলে ফেলেছেন। এই পদ্মাসেতু কখনো হতো না যদি আমাদের একজন শেখ হাসিনা না থাকতো। ষড়যন্ত্র যারা করেছিলেন তারা দয়া করে আর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন না।