তেল থেকে ডাল বাজারে সবপণ্যের দামই যখন মগডালে তখন পিছিয়ে নেই চালের বাজারও। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়ায় ভুগছেন ভোক্তারা। ভরা মৌসুমেও দামের এমন ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেন অসহায় ক্রেতা। বহুভাবে ব্যয় কমিয়েও লাভ হচ্ছে না কিছুই।
পাইকার আর খুচরা বিক্রেতারা জানান, মানভেদে চালে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। তাদের দাবি, গত কয়েক বছরে ক্রেতা বাড়লেও যোগান বাড়েনি। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দাবি, সামর্থ্য আছে বলেই বেশি দামে চাল কিনছে মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর মুদ্রাস্ফীতির দোহাই দিয়ে কারসাজি করছেন বড় মিল মালিক আর ব্যবসায়ীরা।
২০১১ সালের আদমশুমারী হিসাবে, দেশের ১৪ কোটি ২৩ লাখ মানুষের জন্য চালের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি টন। কিন্তু গত ১০ বছরে চালের উৎপাদন ৮৫ লাখ টন বাড়লেও জনসংখ্যা বেড়েছে আরও বেশি।
এদিকে, চালের দাম কমাতে যে অভিযান তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে। কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন মিল মালিকরা। ফলে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম কমেছে দেড়শ টাকা পর্যন্ত। আর সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে আটা ও ময়দার দাম।
পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার পরিচালিত অভিযানের প্রভাব নেই বাজারে। এর মাঝেই আরও জোরালো অভিযানের ঘোষণা মন্ত্রনালয়ের।