ভোটের রাজনীতিতে জোটের প্রচলন এ দেশে বহুল প্রচলিত। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে জোট ঘিরে ছোট দলগুলোর কদরও বাড়ে। এবার ৭টি ছোট দল মিলে নতুন জোট করতে যাচ্ছে। নেতারা বলছেন, আদর্শ আর উদ্দেশ্যই তাদের এক করেছে। তবে এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই আওয়ামী লীগের।
ভোট এলেই জোট হয়— এ যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক চলমান প্রক্রিয়া। তবে এবার রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে আসম আব্দুর রব মাহমুদুর রহমান মান্না আর জোনায়েদ সাকিদের নতুন জোটের ঘোষণা।
এ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, আদর্শ আর উদ্দেশ্য মিলে ছোট এই জোট। যার কলেবর ভবিষ্যতে বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবনা হাজির করব। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলব। আর কেউ যদি আসতে চায় তাদের সঙ্গেও কথা বলব। এটা যদি আরও বড়, আমরা বড় করব। আমরা দরজা বন্ধ করছি না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে কিভাবে বৃহত্তর লড়াইয়ে পরিণত করা যায়। আমাদের এই সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ঐক্যের যাত্রা। এই যাত্রা তো আসলে কর্মসূচির সঙ্গে যত মিলবে তত এটা আরও বৃহত্তর রূপ নিতে পারে।
বড় রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিকে বাইরে রেখে নয় বরং সরকার বিরোধী সবাইকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করতে চান তারা।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা আমাদের তাগিদ থেকে করেছি— এই কথার অর্থ হচ্ছে ঠিক এই তাগিদ হয়তো বিএনপির মধ্যে নেই। অথবা এমনটাও বলা যায়, বিএনপি তাগিদটা বোধ করলেও আমাদের পথে হাঁটছে না।td
এদিকে জোনায়েদ সাকি বলেন, এই যুগপৎ সমন্বয় ধারা গড়ে না উঠলে একটা বৃহত্তর ঐক্য এবং সরকারের থেকে দাবি আদায়ে বাধ্য করার মতো শক্তি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, মাঠে এসব দলের ভোট নেই। এরা বড় দলের ছায়ায় টিকে থাকতে চায়।
আওয়ামী লীগেরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক দলদের প্রতি আমি অবজ্ঞা করতে চাই না। কিন্তু তারা অনেক সময় কথা বলে, এমনভাবে কথা বলে মনে হয় তারা নিজদের অস্তিত্বহীনতাকে প্রমাণ করার জন্যই বেশি বেশি কথা বলার চেষ্টা করে। যার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এসব ছোট দলের কাঁধে ভর করে রাজনীতি করতে চায় বলেও মনে করেন ক্ষমতাসীন এই নেতা।