কিছুটা দেরি হলেও জটিলতা কেটে গেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। জমি আর অর্থায়ন নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বছরের শেষ নাগাদ এর একাংশ চালুর কথা জানালেন প্রকল্প পরিচালক। বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা চালু করতে জোর প্রস্তুতি চলছে এখন। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের মতে, ঠিকঠাক সমন্বয় করা গেলে আরও আগেই এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পেতো নগরবাসী।
বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ঢাকা-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ৪ লেন প্রকল্পের মূল অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। নগরীর বিভিন্ন অংশ এক্সপ্রেসওয়েতে যুক্ত হবে ৩১টি র্যাম্পের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত অংশের কাজের অগ্রগতিও ভালো। বনানী পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ। এছাড়া বনানী থেকে তেজগাঁওয়ের অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। মূল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে দ্রুতই বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা।
পিপিপি প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। সাড়ে ৩ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেটে যাচ্ছে ৯ বছর। প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার স্বীকার করলেন, এখনও অর্ধেক কাজ বাকি। তবে জটিলতা কেটে গেছে। চলতি বছরের শেষ দিকেই বড় একটি অংশ চালুর আশ্বাস দিলেন তিনি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ২১০ একর জায়গার মধ্যে রেলের ১২৮ একর, সড়ক ও জনপদের ২৭ একর। মানুষের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয় ২৮ একর। বাকি জমি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের এক হিসেবে দেখা গেছে, যানজটে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উড়াল সড়কটি চালু হলে একদিকে মানুষ যেমন রক্ষা পাবে অসহনীয় যানজট থেকে, তেমনি বাঁচবে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা।