থাইরয়েড ক্যান্সার। মানবদেহের স্বরযন্ত্রের এক মারাত্মক রোগ। যা বিশ্বে গত ৩০ বছরে বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে আক্রান্তের দিক থেকে এ ক্যান্সারের অবস্থান হবে তৃতীয়। আর, বৈশ্বিক ক্যান্সার বিষয়ক অনলাইন ডাটাবেইজ গ্লোবোস্ক্যান-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর থাইরয়েড ক্যান্সারের আক্রান্ত হন দেড় হাজার মানুষ।
তবে আশার কথা হলো সঠিক চিকিৎসায় থাইরয়েড ক্যান্সার নিরাময় হয় প্রায় ৮০ ভাগ। এজন্য দরকার পরমানু চিকিৎসা বা রেডিওডিন থেরাপি।
বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ের এই থেরাপির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আর বিদেশে খরচ হয় কয়েক লাখ টাকা। তবে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় এ চিকিৎসা দিচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন (নিনমাস)।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস’র অধ্যাপক ডা. ফাতিমা বেগম বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা প্রদানের সব উপকরণ রয়েছে। আমার রোগীদের উন্নতমানের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজে নিনমাসের ১৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। তাদের আন্তরিক ও পরিচ্ছন্ন সেবায় খুশি রোগীরাও। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার থাইরয়েড ক্যান্সার রোগির চিকিৎসা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সাথে চলছে হাইপারথয়েডের চিকিৎসা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস’র অধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসি বেগম বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের অধীনে নিনমাসের কার্যক্রম চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের ৮ম তলায়। তবে, জনবল ও পরিসর পর্যাপ্ত না হওয়ায় সময়মতো থেরাপি পান না তিন চতুর্থাংশ রোগী। তাই নেয়া হয়েছে নতুন ৮টি ইনস্টিটিউট তৈরির পরিকল্পনা।