আগামী ১ জুন থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী তৃতীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের সফরে গত শনিবার (২৮ মে) ভারত পৌঁছেছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল সুজন।
সাত দিনের সফর শেষে আগামী ৩ জুন বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করতে এই সফর হলেও ভারতের বেশকিছু রেল কারখানা ঘুরে দেখবেন মন্ত্রী। এছাড়া ভারতের সঙ্গে রেলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন রেলমন্ত্রী।
আগামী ১ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের সেনানিবাস রেলস্টেশনের উদ্দেশে প্রথমবার রওয়ানা দেবে মিতালী এক্সপ্রেস। ভারতের দিল্লী রেলভবন থেকে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণব ভার্চুয়ালি সেটি উদ্বোধন করবেন।
জানা গেছে, উদ্বোধনের পর দুই দেশের রেলমন্ত্রী দিল্লী রেলভবনে এক বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও চলাচলকারী ট্রেনের বিস্তারিত তুলে ধরবেন বাংলাদেশে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।
সেখানে দুই দেশের রেলপথে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে। কীভাবে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ বাড়ানো যায়, কীভাবে রেলপথের বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
সেখান থেকে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সফল আলোচনার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে রেলরুট বাড়ানোর ব্যাপারেও কার্যকরী আলোচনা হবে বলেও আশা বাংলাদেশ রেলের।
মিতালী এক্সপ্রেস উদ্বোধন ছাড়াও সরকারী এই সফরে মন্ত্রী ভারতের লখনৌ, বারনসি, রায়বেরেলি এবং তুঘলাকাবাদ রেলকারখানা সফর করবেন। এসময় তিনি ভারতের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেবেন। ভারতের এসব রেল কারখানায় ইঞ্জিন ও কোচ মেরামত হয়ে থাকে মন্ত্রী এসব কারখানা পরিদর্শন করবেন।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের দূরত্ব ৫১৩ কিলোমিটার। ট্রেনটি যেতে সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘণ্টা। মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে চারটি এসি কেবিন ও চারটি এসি চেয়ার কোচ থাকবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সকাল ১১টার দিকে ছাড়বে মিতালী এক্সপ্রেস আর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে দশটার দিকে।
ট্রেনটি ভারতের মধ্যে শেষ স্টেশন হিসেবে হলদিবাড়ি আর ভারতের মধ্যে প্রথম স্টেশন হিসেবে চিলাহাটিতে যাত্রা বিরতি করবে। বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকেও টিকিট বিক্রি এবং যাত্রী ওঠার কথা ছিল, কিন্তু চিলাহাটিতে ইমিগ্রেশনের অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত চিলাহাটিতে কোনো কার্যক্রম হ না মিতালী এক্সপ্রেসের।