নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আগামী নির্বাচনের জন্য এক পদ্মা সেতুই তো যথেষ্ট। তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে, একবার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবার জন্য। মানুষ সেতু দিয়ে যাবে, আর আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: মুক্তির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মায়া বলেন, শেখ হাসিনা আছেন, বলেই আজকে আমরা শান্তিতে আছি। পেট ভরে খাই। শান্তিতে ঘুমাই। শেখ হাসিনা বিনা মূল্যে বই দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাচ্ছেন। চাকরি-বাকরি নাই, মাস শেষে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এমনিতে বলে না, ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’। কথাটা শুনলেই মন ভরে যায়। যদি বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিএনপি ও কিছু বুদ্ধিজীবীকে বাঁচিয়ে রাখছে টেলিভিশনগুলো। তা না-হলে বাটি চালান দিয়েও এদেরকে খুঁজে পাওয়া যেতো না। অথচ আজকে তারা কত বড় কথা বলেন। তারা নাকি আওয়ামী লীগের পিঠের চামড়া রাখবে না।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঘরে না বসে থেকে রাজনীতির মাঠে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে সময় আসছে, রাজপথে নামার। ১৩ বছর আরামে ঘুমাইছেন। আজকে মোবাইলের রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নের সুবিধাভোগী এদেশের সবাই। শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্যপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন। সেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যের কোনো সংকট হবে না। গম নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। গমের জাহাজ প্রতিনিয়ত আসছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে গম দেওয়ার কমিটমেন্ট রয়েছে। সে অনুযায়ী গম আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সারা বিশ্বে যখন খাদ্যের দাম বাড়ে তখন এখানেও (বাংলাদেশে) খাদ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব হবে না, হাহাকার হবে না। দেশে প্রচুর খাদ্য মজুত আছে। সামনে আউশ চাষাবাদ হবে, আশা করা যায় উৎপাদনও ভালো হবে। এসময় জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে মিডিয়াকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান তিনি।
জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।