পিকে হালদারকে দেশে ফেরাতে দুদকের টিম গঠন
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে একটি টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার এ টিম গঠন করে সংস্থাটি। প্রথম ধাপে এ টিমে দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন এবং গুলশান আনোয়ার প্রধানকে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ টিমের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এ টিম তাদের মামলার আসামি পিকে হালদারকে দেশে ফেরাতে আইনি বাধা কি, যেসব বাধা আছে তা দ্রুত নিরসনের উপায় বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পিকে হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ফাস ফাইন্যান্সসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋনের নামে লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক এ পর্যন্ত ৩৬টি মামলা করেছে। আরো এক ডজন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি- এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারসহ সহ মোট ছয় জনকে। আদালত ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে পিকে হালদারসহ আটক অন্য ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা দায়ের করে ইডি। এই মামলায় বেআইনি অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য দিতে না পারায় পি কে হালদারের সর্বোচ্চ ৭ বছরের এবং সর্বনিম্ন ৩ বছরের জেল হতে পারে।
এছাড়া, গোপনে দেশ ছাড়ার পর পি কে হালদারের বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রুলের শুনানি হয় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে। এ সময় পি কে হালদারের পাচার করা অর্থ কোন দেশে আছে তা জানতে চায় আদালত। একই সাথে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে করা মামলার অগ্রগতি জানাতে দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১২ই জুন এ বিষয়ে আবার শুনানি হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার পি কে হালদার চক্রের অন্যতম সহযোগী রতন কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার হোসেন প্রধান মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রতন কুমারের ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎসই পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পিকে চক্রের আরো কয়েকজন সদস্যদের সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখছে দুদক। তদন্তে পিকে সিন্ডিকেটের আরো দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।