শ্রদ্ধা আর সর্বস্তরের ভালোবাসায় নিজ জন্মভূমি সিলেটে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিকাল ৩টায় নগরীর রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ১২ টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় তার মরদেহ। পরে গার্ড অফ অনার দেয়ার পর রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বেলা দুইটায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তার ৩য় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীর রায়নগর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে ঢাকায় শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজার পর শনিবার রাত ১০টার দিকে ধোপাদীঘির পারের হাফিজ কমপ্লেক্সে পৌঁছায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ। শেষবারের মতো একনজর দেখতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। সারারাতই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আসতে থাকেন তাকে শেষ বিদায় জানাতে।
বিদায় বেলায় তার জাতীয় পতাকা মোড়া কফিনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। দল-মত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মুহিতের কফিনে ফুলের স্তবক অর্পণ করে, নীরবে দাঁড়িয়ে তার প্রতি জানায় শ্রদ্ধা।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেট শহরের ধোপাদীঘিরপাড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের কর্ণধার আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান মুহিত।
১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনকালে পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছিলেন ভাষা সংগ্রামী মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক-রাজনৈতিক মহলে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত শুক্রবার রাতে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।