এবার বিদেশে পাচার করা টাকা নামমাত্র ট্যাক্স দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। টাকা ফিরিয়ে এনে কেউ যাতে বিপদে না পড়ে সেজন্য দেয়া হবে দায়মুক্তিও। ‘অফশোর ট্যাক্স পলিসি’ নামে এমন বিধান আগামী অর্থবছরের বাজেটে যুক্ত করতে চায় এনবিআর। এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিদেশে টাকা পাচার দেশে বহুল আলোচিত বিষয়। যে টাকায় দেশে দেশে গড়ে উঠেছে বেগমপাড়া। পাচারকারীর তালিকার শীর্ষে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।
পাচার হওয়া অর্থের পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা জিএফআইর প্রতিবেদন থেকে ধারণা পাওয়া যায়। সংস্থাটির হিসাবে, বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় বছরে গড়ে ৭৩ হাজার কোটি টাকা। যার ৮০ ভাগের বেশি হয় বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে। আবার অনেক বাংলাদেশি বিদেশে বৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করলেও আয়কর নথিতে দেখান না।
এমন অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিতে চায় এনবিআর। আসছে বাজেটে ঘোষণা আসতে পারে, ১০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার। সরকারের কোনো সংস্থা অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না এমন বিধানও থাকতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সুযোগ তেমন কাজে আসবে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ দেয়ার বদলে কালো টাকার উৎস বন্ধ করা দরকার। পাশাপাশি যেসব কারণে অর্থপাচার হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করে সমস্যা সমাধানের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
গত অর্থবছরে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা সত্ত্বেও কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেয় সরকার। এতে সাড়াও মেলে ভালো। অর্থনীতির মূল ধারায় আসে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের ধারণা, বিদেশে থাকা টাকা বৈধ করার সুযোগেও অনুরুপ ফল মিলবে।