সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছালেও অগভীর সমুদ্র অঞ্চল থেকে মাছ শিকার করা ছাড়া এই খাতে আমাদের দেশের তেমন কোন সফলতা নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সমুদ্র সম্পদ সর্ম্পকে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা, সমন্বয়হীনতা, বিনিয়োগ এবং সচেতনতার অভাবে বিপুল এই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
তবে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, জনসচেতনতা তৈরিসহ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
দেশের স্থলভাগে যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার প্রায় সমান সম্পদ আছে দেশের মালিকানায় থাকা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশাল এই সম্ভাবনার সিংহভাগই এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
গবেষকরা বলছেন, সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ, তেল-গ্যাস উত্তোলন, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ, পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি এবং খনিজ সম্পদ আহরণ করে দেশের অর্থনীতির চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব। এ জন্য গবেষণার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করা জরুরি বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়রাম্যান ড. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে, অতিরিক্ত মাছ ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ আমাদের জন্য একটা বিশাল হুমকি। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সামদ্রিক পরিবেশের মিল আছে। এই সবগুলো বিষয়ে আমাদের যথাযথ নীতি বাস্তবায়ন করা দরকার।’
সেভ আওয়ার সি পরিচালক এস এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘সমুদ্রে যেমন গবেষণা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি সমুদ্র সম্পদ নিয়েও সবার ধারণা থাকা দরকার। সমুদ্র নিয়ে কাজ করতে হলে সারা দেশের মানুষের অংশগ্রহণটা দরকার রয়েছে।’
এ জন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, শিক্ষা ব্যবস্থায় সমুদ্র বিজ্ঞান অর্ন্তভূক্ত করা এবং জনসচেতনতা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর যে আমাদের নিজেদের সাগর কয়জন বাঙ্গালী জানত। বঙ্গোপসাগরে এত মাছ, আমরা কতটুকু খেয়েছি। এই যে মৎস্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট আছে,যেখানে পড়ানো হয়। মেরিন ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হবে। এর পরিমান আরও বাড়বে। সরকার আরও বিনিয়োগ করবে এখানে।’
একই সাথে এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।