ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্কের টানাপোড়েন যেন কমছেই না। ইইউ মিশনের ১৮ কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এবার মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিবানসহ ১০ কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতার অভিযোগে মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের অবিলম্বে রাশিয়া ছাড়ার সময়ও বেঁধে দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তকে অপ্রত্যাশিত বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার প্রতি ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে বলে দাবি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাত ধ্বংসের অভিযোগ আনেন লাভরভ। পাশাপাশি রুশ কূটনীতিকদের অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এর আগে দেড় শতাধিক রাশিয়ান কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে গত ৫ এপ্রিল রাশিয়ার ১৯ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ইইউ। এর কারণ হিসেবে সে সময় ইইউর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা (রুশ কূটনীতিকরা) এমন কিছু তৎপরতায় জড়িত, যা তাদের কূটনৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।’
রয়টার্স বলছে, এর জবাবেই মূলত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ইইউর ১৮ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে মস্কো। এ ছাড়া ইইউর ওই কূটনীতিকদের যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া ত্যাগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।
তবে মস্কোর এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে ইইউ বলছে, রুশ কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি একটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইইউ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখলে রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।