কৃষ্ণ সাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ মসকোভা

1160
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

কৃষ্ণ সাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত রুশ যুদ্ধজাহাজ মসকোভা ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সাগরে ঝড়ের কারণে জাহাজটি ডুবে যায় বলে জানায় তারা। তবে ইউক্রেনের দাবি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাজটি।

মিসাইল ক্রুজার মসকোভা ছিল রাশিয়ার সমর ক্ষমতার প্রতীক। কৃষ্ণ সাগর থেকে ইউক্রেইনে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিল জাহাজটি। বুধবার বিস্ফোরণে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৫১০ জন ক্রুকে সরিয়ে বৃহস্পতিবার সেটিকে টো করে বন্দরে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। সে সময় উত্তাল সাগরে জাহাজটি ডুবে যায় বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।

ইউক্রেনের তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র নেপচুন দিয়ে রুশ যুদ্ধজাহাজটিতে হামলার কথা জানায় কিয়েভ। প্রথমে ইউক্রেনের হামলার কথা অস্বীকার করলেও পড়ে জাহাজটিতে আগুন লাগার কথা বলা হয়।

মসকোভায় বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এসেছে। ইউক্রেইন দাবি করেছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধজাহাজটিতে আঘাত হেনেছে। তবে রাশিয়া কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি। রাশিয়া বলছে, জাহাজটিতে রাখা গোলাবারুদে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গিয়েছিল।

তবে জাহাজটিতে থাকা সকল ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়া বড় ধরনের আঘাত মনে করছে পেন্টাগন।

মসকোভা ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ১৬টি জাহাজ বিধ্বংসী ‘ভালকান’ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারত মস্কভা, সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অন্তত ৭০০ কিলোমিটার ।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, বুচা পরিদর্শনের সময় বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ দেখে তিনি রুশ সেনাবাহিনীর ওপর চরম ঘৃণা অনুভব করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, জেলেনস্কির সাথে দেখা করতে ওয়াশিংটন থেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে পাঠানো হতে পারে। এমনকি তিনি নিজেও কিয়েভ সফরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান বলেছেন, মারিওপোলের বাসিন্দারা অনাহারে মারা যাচ্ছে। একইসাথে রুশ হামলা বাড়ানোর ফলে দেশটিতে মানবিক সংকট আরও বাড়বে সতর্ক করেন তিনি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন