রাজনীতিতে আলোচনায় এখন বিএনপির জাতীয় সরকার তত্ত্ব। তবে একে অসাংবিধানিক ও উদ্ভট বলছেন ক্ষমতাসীনরা। কেউ কেউ শঙ্কা জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খলা তৈরি চেষ্টার।
যে নামেই হোক নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বরাবরই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে দেশের রাজনীতি। সেই অবিশ্বাস জেঁকে বসে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মধ্য দিয়ে। প্রতিবাদে ২০১৪ এর জাতীয় নির্বাচনে অংশই নেয়নি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি।
পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই ১৮তে নির্বাচনে গেলেও আর এই ব্যবস্থায় নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দেয় দলটি। সেই ধারাবাহিকতায়ই আসে কৌশলগত নতুন জাতীয় সরকারের ধারণা।
কিন্তু বিএনপির এমন ভাবনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। জাতীয় সরকারের ধারণাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিচ্ছেন সরকার দলীয় শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, সংবিধান না মানতে মানতে তারা এমন পর্যায়ে গেছে এখন বিএনপি সংবিধান নামে যে একটা কিছু আছে, সেটাই তোয়াক্কা করছে না। বিএনপি আন্দোলনের নামে যদি সন্ত্রাস, সহিংসতা করে সেটা আমরা সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করব।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, দেশে একটি রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির করার জন্য বিএনপি নেতারা স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন জাতীয় সরকারের ধোঁয়া তুলে আবারও বিশৃঙ্খলা তৈরির পায়তারা করছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিভিন্ন দলকে লোভ দেখিয়ে তাদের পক্ষে টেনে তারা সরকারের বিরুদ্ধে একটা শক্ত আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। বিএনপি কার সঙ্গে জোট করলো না করলো তা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সময়মতো সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীনরা বলেন এবারো নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত বিএনপির।