রমজান শুরুর আগেই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণের বাড়তি খরচ কমাতে টিসিবির মাধ্যমে কোটি পরিবারকে কমদামে নিত্যসামগ্রি দিয়েও যেন রাশ টানতে সরকারের হিমশিম অবস্থা।
লাগামহীন বাজার চিন্তার ভাঁজ একেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের কপালে। তাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানতে সরকারের কোনো গাফিলতি নেই।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, কোথাও এসে আমরা হোঁচট খাচ্ছি। যে কারণে সাধারণত জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সরকারের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, দেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী আছেন যারা রমজান মাস আসলেই দ্রব্যমূলের যেন দাম বাড়ে এ জন সিন্ডিকেট হয়ে যায়। আর এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে জনমণে আওয়ামী লীগ নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এমন আশঙ্কাও তাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, জনগণকে তো জবাবদিহি দিতেই হবে। আমরা যদি ভোট চাইতে |যাই তাহলে তো অবশ্যই বলবে- দামটা কেন বাড়লো।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি বিশ্বাস করি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দ্রব্যমূল সহনশীলের মধ্যে চলে আসবে।
তবে কিছু পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করায় সরকারের অপারগতার কথাও জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।