পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন

1279
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভী। এছাড়া, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান ইমরান খান। তার এই প্রস্তাবটি লিখিত আকারে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকেও জানান তিনি।

রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান একথা জানান বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান। একইসঙ্গে এটিকে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য। তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করা আগের দাবিগুলোর কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল।

ভোটাভুটিতে টিকতে হলে ইমরানের প্রয়োজন ছিল ৩৪২ এর মধ্যে অন্তত ১৭২ টি ভোট। অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা রুখতে আজ রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পার্লামেন্টের আশেপাশের এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বিধি অনুযায়ী, প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেওয়া যায়। প্রস্তাব উত্থাপনের পর তা নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট প্রদানের তারিখ বেশ কয়েকবার পিছিয়ে দিয়ে সর্বশেষ আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়।

২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি। ইমরানের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং পররাষ্ট্রনীতির ভুলের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন