ইকুয়েডরের স্তাদিও মনুমেন্টাল মাঠের সঙ্গে আর্জেন্টিনার সখ্য পুরনো। ১৯৯৩ সালের পর সে মাঠে আজ আবার খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচে তরুণ জুলিয়ান আলভারেজের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু খেলার শেষদিকে পেনাল্টিতে গোল হজম করে ইকুয়েডরের সঙ্গে ড্র করতে হয়েছে লিওনেল মেসিদের।
স্তাদিও মনুমেন্টালে এর আগে খেলা সর্বশেষ ম্যাচটি ছিল ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ। সেবার ফাইনালে জয় পেয়ে কোপা জয়ের আনন্দে মেতেছিল তারা। কোচ আলফিও বাসিলের অধীনে সেই দলটি অপরাজিত ছিল ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। আজ বুধবার (৩০ মার্চ) ইকুয়েডরকে হারাতে না পারলেও ২০ বছর আগে গড়া নিজেদের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে লিওনেল স্কলানির শিষ্যরা। টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত আছে লিওনেল মেসি-ডি মারিয়াদের দল।
ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনা দুই দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এই মৌসুমে রিভারপ্লেট থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া জুলিয়ান আলভারেজ দেখিয়ে দিলেন কেন তাকে নিয়ে ইউরোপের বড় দলগুলোর কাড়াকাড়ি। ম্যাচের চব্বিশ মিনিটে গোলের দেখা পান ২২ বছর বয়সী আলভারেজ।
ম্যাচে আর্জেন্টিনা আর গোল না পেলেও মনে হচ্ছিল জয়ের জন্য এ এক গোলই যথেষ্ট। ৬২ মিনিটে ইকুয়েডরের মিনার পোস্টের বাইরে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। এর পর একটি ফাউল নিয়ে চলল দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাদানুবাদ। নিরুত্তাপ ম্যাচে এই যা একটু উত্তাপ ছড়াল। ম্যাচ জুড়ে আলভারেজের গোলটার বিল্ডআপে যা একটু মেসি ঝলক চোখে পড়ে। এরপর মাঠে মেসি ছিলেন কিনা তা আর বোঝা যায়নি।
আর্জেন্টিনা যখন নিশ্চিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনোই গোলটা হজম করে বসে। যোগ করা সময়ের তিন মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। নিকোলাস ট্যাগ্লিয়াফিকোর হাতে বল লেগেছিল ডি বক্সের ভেতরে। তবে তা এড়িয়ে যায় রেফারির চোখ। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের দাবির মুখে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
ইকুয়েডরের পক্ষে পেনাল্টি শটটি নিতে আসেন অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। তবে তার শটটি ঠেকিয়ে দেন জেরোনিমো রুল্লি। এমি মার্টিনেজ ও আরমানির অনুপস্থিতে এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট সামলেছেন রুল্লি। চমৎকার দক্ষতায় ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটটি আর ফেরাতে পারেননি। ভ্যালেন্সিয়া ফিরতি শটে গোল করলে ম্যাচটি ড্র হয়।
এ ড্রয়ের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইয়ে কোনো পরিবর্তন নেই। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ৩৯। এ অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া বাকি দুটি দল ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে। এ ছাড়া আজ পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করে প্লে-অফে খেলার সুযোগ করে নিয়েছে পেরু। আজ জয় পেলেও বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে না হামেস রদ্রিগেজ-দিয়াসের কলম্বিয়াকে। সানচেজ-ভিদালের চিলিও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।