হরতালের অংশ হিসেবে রাজধানীর পল্টনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের এ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টা জবাবে জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জোটের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ের একপাশে অবস্থান নিলে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। জলকামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘পুলিশের হামলায় আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজকের এ জঘন্য পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।’
এর আগে, সাইফুল হক বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই বাম নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। দেশের ১৪-১৫টি জেলা থেকে খবর পেয়েছি, ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক ও তুলে নেওয়া হয়েছে। আজ সকালেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হরতাল সমর্থনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করা হয়েছে।’
গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সকালে মিরপুর হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের নয় নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। তাঁদের এখনও ছাড়া হয়নি। একইসঙ্গে সারা দেশেও বেশকিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।’
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট হরতাল ডাকে। এর সমর্থনে ভোর থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ে মিছিল করেন।’
এ বিষয়ে পল্টন থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মীজানুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো কিছুই জানানো হয়নি। পরে জানা যাবে।’