র্যাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত এখনই পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং কাজ করছে দুই দেশ।
আজ দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, কলম্বোয় অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যতবারই মার্কিন প্রতিনিধি যাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হচ্ছে বা হয়েছে র্যাব ইস্যু নিয়ে আমাদের কাছে এসেছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, আমরা রিম্যাটেরিয়াল মেজার্স নিচ্ছি, নানা রকম অপকর্ম কমাতে র্যাব অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছে।’
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ জোর দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। র্যাবের বিগত ৩ মাসের কর্মকাণ্ডে বেশ খুশি যুক্তরাষ্ট্র এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর মার্কিন প্রতিনিধি যার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, র্যাব ইস্যুটা এসেছে। সম্প্রতি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি বলেছেন, গত তিন মাসে র্যাবের হাতে কারও মৃত্যু হয়নি এবং এতে তারা খুশি বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি—যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটি আমরা নিচ্ছি। আমাদের সিস্টেমে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে, যেটি অনেক সময় কার্যকরি হয় না। সেগুলো যাতে কার্যকর হয়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুর রয়েছে। সুখে-দুঃখে তারা আমাদের পাশে আছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এক নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেন, ৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আগামী ৫০ বছরে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আমরা উভয়েই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলেছে। জনগণ এখন ভোট দিতে পারছে। অনেক দেশে মাত্র ২৬ শতাংশ ভোট পড়ে। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দিয়ে থাকেন। ভোট ও গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা রয়েছে।