দেশ যাবে কোন পথে, সে ফয়সালা হবে রাজপথে। আসছে জাতীয় নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে এমনটাই ভাবছেন বিএনপির তরুণ নেতারা। তারা মনে করেন ২০১৪ সালের মতো দমন-পীড়ন করে পার পাবে না সরকার। কারণ সরকারের মাথায় নিষেধাজ্ঞার খড়গ।
গত এক দশকে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে নিজ দলেই সমলোচনার কমতি নেই। অনেকেরই অভিযোগ ছিলো, কর্মসূচী দিয়ে খুজেই পাওয়া যায়নি সিনিয়র নেতাদের। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এবারে কৌশলী বিএনপি।
কেমন হবে রাজপথের সে আন্দোলনের ধরণ? কী ভাবছে বিএনপির তরুণ নেতৃত্ব? দলটির ঢাকা মহানগরের নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, সাহসের সঙ্গে সবকিছু মোকাবেলায় প্রস্তুত নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। সরকার যদি অতীতের মতো কোন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরাও তা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি।
এদিকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের দাবি, হামলা মামলায় দলের পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে। বলেন, রাজপথেই হবে শেষ ফয়সালা। শামা ওবায়েদে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে গিয়ে মামলা খাচ্ছে, মাঠে নামার আগে মামলা খাচ্ছে, এলাকায় ঠুকতে পারে না। সেটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে আন্দোলন সংগ্রাম করে মামলা খাওয়া ভালো।
সংসদে প্রায়শই সরকারের সমলোচনায় মুখর থাকেন বিএনপির একমাত্র নারী প্রতিনিধি রুমিন ফারহানা। তার মতে, এবারে নির্বাচনি আন্দোলনে দমন নিপীড়নের আগে দুবার ভাববে প্রশাসন। কারণ মাথার ওপর রয়েছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার খড়গ।
বিএনপি এ নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, আন্দোলন দমন করতে বুলেটা যে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করতে দুই বার ভাববে। কারণ তাদের মাথার ওপর রয়েছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আর সেটাই আমাদের শক্তি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র সরান, র্যাব-পুলিশের বুলেট সরান, তারপর দেখেন আন্দোলন করতে পারি কিনা। দলের সঙ্গে দল মোকাবিলা করতে পারে কিন্তু প্রশাসন বা পুলিশ বাহিনীকে তো দল মোকাবিলা করতে পারে না।
এদিকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির তরুণ নেতৃত্ব ইভিএমে ভোট বাতিলের দাবি জানান।