এ বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মো. আমির হামজাকে মনোনীত করার নিয়ে তুমুল বিতর্ক বয়ে যায়।
স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা চূড়ান্ত করা পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, এটি তার নিজের ব্যক্তিগত এবং কমিটির যৌথ ব্যর্থতা।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যেকোনো শক্তির চেয়ে কলমের শক্তি বেশি। এটা আপনারা প্রমাণ করেছেন। আপনাদের লেখনির মধ্য দিয়ে সত্য প্রকাশ হয়েছে। আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করি। ভুল হতে পারে, মানুষ হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নেই। তবে আমাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
আমির হামজাকে নিয়ে অনেক ‘ভুল তথ্য’ কমিটির কাছে জমা পড়েছিল উল্লেখ্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অনেক ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিল, সব সত্য গোপন করা হয়েছিল। কারা ভুল তথ্য দিয়েছেন খতিয়ে দেখবো। কমিটির ফোরামে এটা আলোচনা হবে। আমাদের যেটা ভুল হয়েছে সেটা সংশোধন করেছি। আমরা কেউ চাইবো না বারবার ভুল করতে।
বলে রাখা ভালো, গত ১৫ মার্চ ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মো. আমির হামজাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে মনোনীত করা হয়।
তুমুল সমালোচনার মুখে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হওয়া বিতর্কিত ব্যক্তি মো. আমির হামজার পুরস্কার (মরণোত্তর) বাতিল করে গত ১৮ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নামের নতুন তালিকা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
