অসহনীয় যানজটে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। ১০ মিনিটের পথও ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। এ যানজট নিয়ন্ত্রণে আপাতত সমাধান দেখছেন না পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম ও অনিয়ন্ত্রিত ছোট যানবাহনের নিবন্ধন, সব কিছু কঠিন করে ফেলেছে। ট্রাফিক বিভাগ টোটকা হিসেবে জোর দিচ্ছে আইন মানা ও গণপরিবহণের ওপর।
অসহনীয় যানজট নিয়ন্ত্রণের তাৎক্ষনিক সমাধানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেও পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান। বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, আমরা এখনও পার্কিং এর সমাধান করতে পারি নাই। বাসগুলোকে কোম্পানিভিত্তিক একটি করিডোরে নিয়ে আসতে হবে। একজনই চালাবে, প্রতিযোগিতা থাকবে না। তাতে রাস্তার অহেতুক যানজট হবে না। এটা করতে বিনিযোগ লাগবে না। সময়ও লাগবে না।
বুয়েটের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এ সমস্যা সমাধানে সড়কের পাশাপাশি সমপরিমাণ রেললাইন করার কথা জানান।
শবে বরাতের ছুটির দিনে একেবারেই ফাকাঁ ছিলো রাস্তাঘাট। বাসে কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িতে রাজধানীর যেকোনো প্রান্তে ২০ থেকে ৪০ মিনিটে যেতে পেরেছেন যাত্রীরা। কিন্তু কর্মব্যস্ত দিনে এ যাত্রীদেরই পরতে হচ্ছে অসহনীয় যানজটে। করোনার পর সব কিছু খুলে যাওয়ায় গত সপ্তাহে রাজধানী ছিল যানজটে নাকাল।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ আশা করছে, বড় বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাস্তার সক্ষমতা বাড়বে। তখন অনেকটা কমে যাবে যানজট। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের এডিসি এস এম শামীম বলেন, আইন মেনে চলতে হবে। যত্রতত্র পার্কিং করা যাবে না। ব্যক্তিগত গাড়িকে নিরুৎসাহিত করে গণপরিবহন ব্যবহারে বেশি করে অভ্যস্ত হতে হবে। আর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চালু করতে হবে।
বর্তমান অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিনই শুধু নয়, অনেকটা অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যখন যে পরিকল্পনা নেয়ার কথা ছিল তা না নিয়ে জোর দেয়া হয়েছে বড় বড় প্রকল্পে।