রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি উসকে দিচ্ছে পণ্যমূল্য। কমে যাচ্ছে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা। ক্রমবর্ধমান নির্মাণ সামগ্রীর ব্যয়, জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচে ঝুঁকি বাড়ছে ব্যবসায়। অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে নতুন বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে।
অবকাঠামো নির্মাণের অন্যতম উপকরণ রড। বুধবার ঢাকায় এক কেজি রড বিক্রি হয় ৮৮ টাকায়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে যা বিক্রি হয় ৮০ টাকার কমে। রাজধানীর প্রগতি সরনির এই বিক্রেতা জানান, দাম যতই বাড়ছে বিক্রি ততই কমছে।
রড ছাড়াও বেড়েছে সিমেন্টসহ আরো নানা নির্মাণ উপকরণের দাম। যার প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগে।
করোনার কারণে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল, জ্বালানিসহ অনেক পণ্যের দাম উর্ধ্বমূখী। আন্তর্জাতিক পরিবহন খরচও অস্বাভাবিক। ইউক্রেন যুদ্ধ, পরিস্থিতি আরো নাজুক করে তুলছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান দুইয়ের ডিসিসি মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয় কর্মী সুশান্ত সাহা সোহাগ। যিনি কম কিনে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আয়ের তাল মেলাচ্ছেন। এই মার্কেটের অনেক বিক্রয় কর্মীর অবস্থা সোহাগের মতোই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি পড়বে রাশিয়ায় রপ্তানিতে। ঝুঁকিতে থাকবে মেগাপ্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে। এছাড়া গম, কিটনাশক আমদানিতেও খরচ বাড়বে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনীতিকে চাপমুক্ত করতে উদার হতে হবে সরকারকে। ব্যবসার খরচ কমাতে আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম করে ছাড় দিতে হবে। স্থিতিশীল রাখতে হবে জ্বালানির মূল্য । আর স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।