জাতীয় সরকার নয় বরং সঙ্কট সমাধানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারই চায় বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে জাতীয় সরকারও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে, যারা জাতীয় সরকার চাইছেন তাদের সাথেও আলোচনার দুয়ার খোলা রেখেছে দলটি।
বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে বিএনপি জানান দিচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না হলে আসছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। নির্বাচনকালীন সরকার আদায়ে নতুন ঐক্যের পথও খুঁজছে দলটি। এরই মাঝে ঐক্য প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য বেশকটি দল এক আলোচনায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় সরকারের বিষয়টি সামনে আনে।
এর জবাব দিলেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বলেন, আমরা জাতীয় সরকারের প্রেক্ষাপটটা চাই না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাদী হল দেশবাসী বিবাদী বা আসামি হল আওয়ামী লীগ। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন দেন দরবার নাই। আওয়ামী লীগ জাতীয় সরকারই হোক বা নির্দলীয় সরকারই হোক সেখানে আওয়ামী লীগের কোন ঠাঁই হবে না।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেন তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, জাতীয় সরকার কেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নির্বাচনকালীন হবে। এই সরকার হবে জনগণের ভোট নিশ্চিত করতে। জনগণের ভোট ছাড়া কোন সরকার কিছু সময়ের জন্য থাকতে পারে, এর বেশি না। আমরাতো জনগণকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভোট থেকে বঞ্চিত করতে পারবো না।
বিএনপির নীতি নির্ধারকদের মতে, জাতীয় সরকারের মোড়কে আরেকটি দলীয় সরকার জনগন গ্রহণ করবে না। এনিয়ে এখনো সুযোগ রয়েছে আলোচনার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরাই প্রশ্ন তুলছি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। সেখানে আমরাই যদি এমন সরকার নিয়ে আসি তাহলে ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় যাওয়া হচ্ছে। এছাড়া এমন সরকারে কোন দল থাকবে বা কারা থাকবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। যারা ক্ষমতায় আছে তারাও একটা দল, তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই চলছে। দিনশেষে জাতি এবং দেশের জন্য যেটা ভালো সেই সিদ্ধান্তই আমাদের নিতে হবে।