মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তবে রাশিয়া কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে চায় বলেও তিনি দাবি করেছেন। বুধবার আলজাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন জাখারোভা।
ইউক্রেন সংকটে ন্যাটোর হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ন্যাটো জোট ইউক্রেন সংকটে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বোঝা যায় তাদের বুদ্ধিসুদ্ধি এখনও লোপ পায়নি।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে কঠোর, সুচিন্তিত ও সুস্পষ্ট জবাব দেবে।
রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের ‘নর্ড স্ট্রিম-২’ প্রকল্প স্থগিত রাখার যে ঘোষণা বার্লিন দিয়েছে সে সম্পর্কে পেসকভ বলেন, কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন কোনো মানুষ প্রায় শেষ হতে যাওয়া এই প্রকল্প বন্ধ করে দেবে না।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বহু খেলাধুলা থেকে রাশিয়াকে বাদ দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু বরাবরই ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় রাশিয়া।
এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।