কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হওয়া শান্তি আলোচনার পর রাশিয়া হামলার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে মরিয়া রুশ বাহিনীর বিশাল সেনাবহর ইউক্রেনের পথে রওনা দিয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কিয়েভের দিকে থাকা রুশ গাড়িবহর অন্তত ৪০ মাইল লম্বা। এছাড়াও ব্যাপক সংখ্যক রুশ সেনা নতুন করে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে সীমান্তে জড়ো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হারখিভে। সোমবার রাশিয়ার হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র। শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে খারসন শহরেও। এছাড়াও চেরনিহিভ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পাঁচদিনে ৫৬টি রকেট ও ১শ ১৩টি ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলা বন্ধে ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন চালুর আহ্বান জানান তিনি। তবে এই পদক্ষেপ নিলে ন্যাটো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে তা বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করতে চাওয়া বিদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের অবসানের লক্ষ্যে সোমবার দুপুরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বেলারুশের সীমান্ত এলাকা গোমেলে আলোচনায় বসেন।
দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রায় ৫ ঘণ্টা আলোচনা হয়।
ভ্লাদিমির মেডিনস্কি রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বলে বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে।
তিনি জানান, দুই পক্ষ কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছে যার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।
দুই পক্ষই আরেক দফা আলোচনায় সম্মত হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিয়েভের প্রতিনিধি দলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেক্সি রেজনিকভ, ক্ষমতাসীন সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল গ্রুপের প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাই তোচিটস্কিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।