ইউক্রেনের ঐতিহাসিক চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল নিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই পরমাণু স্থাপনাটি দখল করে নিল রুশ সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দফতরের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলইয়াক জানিয়েছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণের পর চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নেয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। রাশিয়ার ব্যাপক আক্রমণের পর চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রটির নিরাপত্তা সম্পর্কে বলাটা অসম্ভব। যা আজ ইউরোপের জন্য অন্যতম বড় একটি হুমকি।’
চেরনোবিল দখলের কয়েক ঘণ্টা আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেনম রুশ সামরিক বাহিনী তা দখল করার চেষ্টা করছে।
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকাকালীন ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিনটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসেবে পরিচিত। সোভিয়েতের পতনের পর চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউক্রেনে হামলার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর কিছুক্ষণ পরই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হানতে শুরু করে। কিয়েভের সামরিক সদর দপ্তরের পাশাপাশি হামলা হয় দেশটির সামরিক বাহিনীর মিসাইল কমান্ড সেন্টারগুলোতেও।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার প্রথম দিন শেষে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের অন্তত ১৩৭ জন সৈন্য নিহত ও ৩১৬ জন সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।