আজ থেকে থাকছে না করোনার বিধিনিষেধ

1321
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনার সংক্রমণ কমায় আজ থেকে বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আবারো সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এজন্য স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিলো। চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৩ই জানুয়ারি থেকে ১১টি নির্দেশনা দিয়ে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার।

বিধি নিষেধ আরোপের চল্লিশ দিন পর সোমবার ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮ হাজার ৩১৮টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৯৫১ জনের করোনার শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মারা গেছেন ৯ জন। এমন অবস্থায় ১৩ই জানুয়ারি থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় এখন থেকে গণপরিবহনে যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে থাকছে না কোন শর্ত। হোটেল-রেস্তোরাঁ ও উন্মুক্ত স্থানে খেতে গেলে দেখাতে হবে না করোনা টিকার সনদ। খোলা স্থানে সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি করা যাবে সহজে ও স্বচ্ছন্দে। পর্যটন কেন্দ্রগুলো ব্যবসা করতে পারবে অবাধে। ওমিক্রন সংক্রমণ হ্রাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দিয়েছে সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। ১লা মার্চ থেকে খুলছে প্রাথমিক ও এবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো।

তবে ১৩ই জানুয়ারি থেকে দেয়া এই বিধিনিষেধ খুব একটা কার্যকর ছিলো না বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিলো সেগুলো যে খুব কার্যকরী ছিলো তা না। একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা গেছে, বাকি জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিলো। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের কারণে ও দুই নম্বর টিকা কাভারেজ বৃদ্ধি হয়েছে এটার কারণে এই সংক্রমণের শেষ দেখতে যাচ্ছি আমরা।

গত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় দেশে সংক্রমণ সংক্রমণ বেড়েছে এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে। তাই এখন সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আরও বলেন, মার্চ, এপ্রিল. মে, জুন, জুলাই এই সময়ে গত দুই বছরে যেহেতু সংক্রমণ বেড়েছে, সুতরাং সেদিকে নজর রাখতে হবে। অর্থাৎ আমাদের সারভিলেন্স বাড়াতে হবে। বিশ্বের কোন দেশে যদি ঝুঁকি তৈরি হয় নতুন কোন ভেরিয়েন্ট দ্বারা সেটা যেন আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে না ঢুকে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।

শনাক্তের হার কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। আর স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি সবাইকে করোনা টিকার আত্ততায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গ্লোবালি ও দেশে কমছে সেক্ষেত্রে তো বিধিনিষেধ তোলা যেতেই পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ করতে হবে। মাস্ক পর, জনসমাগমস্থলে না যাওয়া, হাত ধোয়া এগুলো তো মানতেই হবে। আর আমরা ভ্যাকসিন কাভারেজ বাড়ানোর কাজ তো করেই যাচ্ছি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন