শতভাগ সাফল্য কেউই অর্জন করতে পারেনা, এই কমিশনও পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তবে নির্বাচনী সহিংসতা, মৃত্যু এসব কমিশনের ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও চার কমিশনারের পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ দিন উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তবে নির্বাচনে তাদের সফলতাও রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য কমিশন ভালোভাবে শুনেছে। এরপরেও কিছু রাজনৈতিক দল এই কমিশনকে মেনে নিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আইনের বাইরে গিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। কমিশন কে নিয়ে সুশীল সমাজ বা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা সঠিক নয়।
অনেকেই বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে, কিভাবে হয়েছে তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জানা নেই। করোনায় নির্বাচন করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
সিইসি বলেন, আমরা ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছি। রুটিনকাজের বাইরেও অনেক কাজ করেছি। আইন সংস্কারের বেশকিছু কাজ করেছি। আরপিও, বাংলায় রূপান্তরসহ অনেকগুলো বিধিমালা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ হাজার ৮৮১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি, বিশেষ করে ইভিএমে। করোনার কারণে সীমানা পুনর্নিধারণ করতে পারিনি।
স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। ইভিএম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এনআইডি সহজীকরণ করা হয়েছে। ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।
‘আমরা মনে করি, আমাদের ওপর যে দায়িত্ব ছিল, কঠোর পরিশ্রম করে সে দায়িত্ব পালন করেছি’ যোগ করেন নূরুল হুদা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জমানও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় এই কমিশনের। এদিকে কে এম নুরুল হুদা কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা। এ লক্ষ্যে তিনি নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নারী নেত্রী এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রায় তিন মাসব্যাপী সংলাপের আয়োজন করেন।
২০১৭ সালের ১৫ই অক্টোবর বিএনপির সঙ্গে সংলাপে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। খালেদা জিয়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে বিএনপি সরকার দেশে প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা সিইসিকে সতর্ক হয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন।