আন্দোলনের পাশপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে বিএনপিতে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান বা যোগাযোগ বাড়ানোসহ কেন্দ্র থেকে দেয়া হয়েছে নানান নির্দেশনা। দলটির নেতারা অবশ্য বলছেন, নির্বাচনের জন্য সব সময়ই প্রস্তুত তারা। এজন্য আলাদা কোন প্রস্তুতির দরকার নেই। তাদের মতে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে যেকোন নির্বাচনে যাবে তাদের দল।
দলীয় সরকারের অধীন আর কোন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অটল বিএনপি। তাদের দাবি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। যদিও এই দাবির পাশাপাশি দলে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতিও।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে, আমাদের সংগঠন পুনর্গঠনের কাজও চলছে। কিন্তু এই অনুগত নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। আমরা বিশ্বাস করি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু জানান, হয় সরকার এটা মেনে নিবে, নয়তো সরকার পদত্যাগ করবে। এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু না। ১৯৯০ সালে সরকারের পতন দেখেছেন। কোনভাবেই তারা না একদলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারবে, না সরকার গঠন করতে পারবে।
কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যার যার এলাকায় অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। যাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি বলছেন নেতারা।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপারস ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা করোনাকালীন সময়ে মানুষের পাশে ছিলাম। স্ব স্ব এলাকায় সংগঠন সুসংগঠিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এটা আপনি নির্বাচনের প্রস্তুতি মনে করতে পারেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক জানান, বিএনপির যেহেতু জনসমর্থন আছে তাহলে প্রস্তুতি নিতে বিএনপির এতো সময় লাগবে না। ভোটচুরি করতে হবেনা, মানুষের কাছে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হবে না। সেই প্রস্তুতি আছে ও চলছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারকদের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হলেই তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেখানে ভোট হয় সেটাই ভোটের মাঠে, যেখানে ভোট হয় না সেটা তো ভোটের মাঠ হয় না। এটা তো চোরের মাঠ, আমি তো ভোটের মাঠে যাবো, চোরের মাঠে যাবো না। বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিএনপি যে কোন মুহূর্তেই প্রস্তুত আছে। আমাদের একটি সুবিধা হলো আমাদের আস্থা হলো জনগণের ওপর। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে।