নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদনে নতুন রেকর্ডের কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের কাছে পরীক্ষা চালানোর পর এই তথ্য জানিয়েছে জয়েন্ট ইউরোপিয়ান টোরাসের বিশেষজ্ঞদের একটি দল। বৃটেনের অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটি বলেছে, পাঁচ মিনিটের ওই পরীক্ষায় ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে, যা ১৯৯৭ সালে চালানো পরীক্ষায় উৎপাদিত শক্তির দ্বিগুণ।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ফিউশন বিক্রিয়া ব্যবহার করে কম দামে ও পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন সম্ভব। বিজ্ঞানীদের আশা, অদূরভবিষ্যতে শক্তির উৎস হিসেবে এটি ব্যবহার করা যাবে।
এএফপির খবরে বলা হয়, এই ফিউশন বিক্রিয়ার জন্য সূর্যের কেন্দ্রে যে পরিমাণ তাপমাত্রা থাকে তার চেয়ে ১০ গুণ তাপমাত্রায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়া যে মৌলিক পদার্থ ব্যবহার করে এই বিক্রিয়া ঘটানো হয়, তা অন্য পদার্থ বা প্লাজমায় পরিণত হয়।
গবেষণায় যুক্ত থাকা বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তি হবে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ। শক্তি উৎপাদনে খরচও অপেক্ষাকৃত কম। ভবিষ্যতে শক্তির উৎস হিসেবে এটি ব্যবহার হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।
এ প্রসঙ্গে এই পরীক্ষাকে একটি মাইলফলক হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানী আর্থার টারেল। তিনি জানিয়েছেন, এই প্লাজমা ৫ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এরপর হয়তো এই প্লাজমাকে ৫ মিনিট, এরপর ৫ ঘণ্টা, এমনকি এর থেকে বেশি সময় ধরে রাখা সম্ভব হবে।