অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে এই রায় প্রকাশ করা হয়। এসময় হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, সংসদ সদস্য পদও থাকবে না হাজী সেলিমের।
এ আগে গত ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এরপর এই দুই বিচারপতি এই রায়ে স্বাক্ষর করেন।
আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী মো. সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আর আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করতে রায়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও এই মামলায় হাজী সেলিমের জব্দ কৃত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয় রায়ে। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এই মামলায় বিচারিক আদালতের ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।