বিএনপি সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের বার্তা দিলেও তার ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান দলটির তৃণমূল থেকে কেন্দ্রের নেতারা পর্যন্ত।
ক্ষমতার বাইরে প্রায় দেড় দশকেরও বেশি। এর পুরোটা জুড়েই নানা দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের ঘোষণা দিলেও সফল হয়নি দলটি। তবে, এবার একদফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের সাথে সব দেনা-পাওনা চুকাতে চায় বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীদের মতে, নেতৃত্বের সমন্বয়ের মাধ্যমে সাংগঠনিক দুর্বলতা না সারলে আন্দোলন কখনোই আলোচনা সভার গণ্ডি পেরোবে না। সেইসঙ্গে করোনা কিংবা অন্যকোন অজুহাতে আন্দোলনে আর কালক্ষেপনের পক্ষেও নন তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো জাতীয় কর্তব্য, এদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। যদি দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা দাবিকে সফল করতে হবে।
তাই ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে এমন সতর্ক বার্তাও দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হুমকি দিয়ে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমলে আন্দোলন কত প্রকার কী কী তা বুঝিয়ে দিবে বিএনপি। তবে, তৃণমূলের নেতারা বলছেন, রাজপথে নামতে আর সময় ক্ষেপনের পক্ষে নন তারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবিউল্লাহ নবী বলেন, আমাদের অনেক নেতা অনেক কথাই বলেন, কিন্তু দলীয় প্রধানের নির্দেশনা মেনেই আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। আজ আন্দোলন করব, কাল করব এসব কথা বললে সরকার সুযোগ নেয়।
যেকোনো মূল্যে একদফা আদায় করতে চান বিএনপি নেতারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম জানান, এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দাবি আদায়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি। ঢাকা মহানগরীর দারুস সালাম থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সাজু বলেন, আগামীতে ঢাকা মহানগরীই হোক অথবা সারা দেশ যেখানেই হোকনা কেন আমরা সম্পূর্ণ তৈরি হয়েই এবং পরিণতির কথা মাথায় রেখেই আন্দোলনে নামছি।
তবে, আন্দোলনে সফল হতে আগে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটানোর তাগিদ দেন নেতারা। এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা এতদিনে আন্দোলন সংগ্রামে থাকেনি তাদের দায়িত্ব দেয়া হলে আন্দোলন সংগ্রাম কতটুকু সফল হবে। নেতা-কর্মীদের সমন্বয় না করেই আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়, এতে সমন্বয়হীনতা থাকায় আন্দোলন সফল হয় না বলেও জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।