অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেল সুপার নেছার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রায়ের পর সন্ধ্যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে কারাগারে পৌঁছায় পুলিশভ্যান। এরপর ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত প্রদীপ ও লিয়াকতকে আলাদা করা হয়। কারাগারের কনডেম সেলে তাদের রাখা হয়।
জেল সুপার নেছার আলম জানান, কক্সবাজার কারাগারে কোনও কনডেম সেল নেই। তাই একটি কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাখা হয়। জেল কোড অনুযায়ী, তাদের সুবিধা দেওয়া হয়।
তিনি জানান, সিনহা হত্যা মামলার যাজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কয়েদি হিসেবে গণ্য হবে। ফলে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হবে তাদের। আর আদালতের কাগজপত্র এলে খালাস পাওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
এর আগে বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলেল আদালত রায় ঘোষণা করেন। মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে টেকনাফ থানার বরখাস্ত সাবেক ওসি প্রদীপ এবং টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত সাবেক পরিদর্শক লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক মো. লিটন মিয়া, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসাইন আজাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল রাজীব হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
সিনহা হত্যাকাণ্ডের রায় পড়া শেষ হয় বিকেলে সাড়ে ৪টায়। দুপুর আড়াইটায় বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এজন্য আদালতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়।