ইউক্রেন নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা

1357
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের ঘটনায় উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুল রুশ সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় মেতেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া। উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা।

সোমবার হোয়াইট হাউজ জানায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিতে সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা বাড়ানো অব্যাহত রেখেছে এমনকি নতুন করে বেলারুশেও সেনা বাড়ানো হয়েছে দাবি করে হোয়াইট হাউজ জানায় যে কোন মুহুর্তে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে।

জেন সাকি আরো বলেন, রাশিয়া যা করছে সেবিষয়ে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সৈন্য মোতায়েনসহ বেলারুশেও পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। আসছে সপ্তাহে আরো সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।

এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাশিয়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউক্রেনে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে কিয়েভানরা।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ চায়না। পরিস্থিতি শান্ত করতে কূটনীতিকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারপরও রাশিয়া যদি সেনা আরও বাড়ায় আমরা যুদ্ধ করব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সহকর্মী লিজ ট্রুস যে নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানাই।

এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ব্রিটিশ সতর্কতাকে খুব বিরক্তিকর বলে অভিহিত করে বলেন, এতে ব্রিটিশ কম্পানীগুলিকে বিনিয়োগকারী হারাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে হুমকী দিয়েছেন।

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কূটনৈতিকরা। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে ডাকা বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে দুইপক্ষ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন