বিদেশে বসেই দুই ভাইয়ের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে দেশে স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৪ কেজি স্বর্ণসহ এক যাত্রী আটকের পর তার দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উঠে আসে সিন্ডিকেটের চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের সঙ্গে এই সিন্ডিকেটের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
জানা যায়, স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের প্রধান টার্গেট দুবাই থেকে আসা যাত্রীরা। কাউকে ফ্লাইটের টিকেট বা স্বর্ণ বহনের জন্য কমিশন দিয়ে কৌশলে নিয়ে আসা হতো স্বর্ণের চালান। চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান করে আসলেও তাদের ধরতে পারেনি কেউ।
গেল বছরের ২৩শে নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৪ কেজি স্বর্ণসহ দুবাই ফেরত যাত্রী সোহেলকে আটক করা হয়। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিলেও কোন তথ্য না পেয়ে কারাগারে পাঠায়। পরে মামলটি সিআইডি নেয়ার পর ফের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে।
এরপর সোহেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে সাতকানিয়ার উত্তর কাঞ্চনার দুই ভাই জাহাঙ্গীর, সায়েম ও হাটহাজারীর হাশেমের নাম।
স্টেশন রোডের প্যারামাউন্ট সিটিতে রয়েছে জাহাঙ্গীরের অফিস। রিয়াজউদ্দিন বাজারের চৌধুরী মার্কেটে রয়েছে নাহার ইলেকট্রনিক্স নামে সায়েমের দোকান। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ। এছাড়া রেয়াজউদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক স্বর্ণ চোরাচালান কয়েকটি সিন্ডিকেট সক্রিয়।
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে স্বর্ণের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেটটি। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চোরাচালান সিন্ডিকেট চক্র মাদক ও অস্ত্রের বিনিময় মূল্য পরিষদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে এসব স্বর্ণ।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ মোহাম্মদ খালেদ বলেন, যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে আমরা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করব।