দেশের ৪১ জেলায় বুধবার করোনা শনাক্তের হার ২০ ভাগেরও বেশি। সর্বোচ্চ শনাক্ত মুন্সিগঞ্জে ৫৮ ভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চার দিনেই শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার করোনা রোগী। আরো দুই থেকে তিন সপ্তাহ সংক্রমণ বাড়বে বলে সতর্ক করেছে আইইডিসিআর।
দেশে বইছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। পহেলা জানুয়ারি দেশে ৩৭০ রোগী শনাক্ত হলেও ১৯ জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৯ হাজারে।১৯ দিনে শনাক্তের হার দুই থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ ভাগ। রাজধানীর বাইরেও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা।
দেশের ১৪ জেলায় শনাক্তের হার ত্রিশের বেশি। বুধবার রাজধানীকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের হার মুন্সিগঞ্জে, ৫৮ ভাগ। এরপর বান্দরবানে ৪৮, বগুড়ায় ৩৯, পিরোজপুরে ৩৮, মৌলভীবাজার, যশোর ও ঝিনাইদহে ৩৬, খুলনায় ৩৫ এবং গাজীপুর ও রাঙামাটিতে হার ৩৪। আর রাজধানীতে শনাক্তের হার ২৫ ভাগ।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। তিন বিভাগের ২৭ জেলার মধ্যে ২৫ টিই রয়েছে উচ্চঝুঁকিতে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ঢাকায় ৬০ থেকে ৮০ ভাগই এখন ওমিক্রন সংক্রমণ। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত।
আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, শনাক্তের হার ১০ ভাগের বেশি হলে তাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ধরা হয়। বুধবার দেশের ৫৬ জেলায় করোনার শনাক্তের হার ১০ ভাগের বেশি।
দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে করােনা সংক্রমনের হার। তবে শনাক্ত বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না বেশিরভাগ মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে। করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বরিশালেও। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক চার দুই শতাংশ। তবে হাসপাতালে না এসে বেশিরভাগ বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মার্কেট বা কাঁচা বাজারগুলোতেও নেই স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কোনো ব্যবস্থা। বিভিন্ন জমায়েত, গণপরিবহনে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক হলেও সেটি নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই বেশিরভাগ মানুষের।