প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হবে।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বয়স ৫০ বছর হতে হবে। সরকারি আধা-সরকারি ও বিচার বিভাগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।
এ আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই আইনের অধীনে হবে কি না, এক সাংবাদিক এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আশা করা যায়, এই আইনি চূড়ান্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।