রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোতে মানা হচ্ছে না করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা। আসনের বাইরেও দাঁড় করিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দেওয়া তো দূরের কথা, যাত্রী, চালক, চালকের সহযোগী বেশির ভাগের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক।
এদিকে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। দেশে ইতিমধ্যে ৫৫ জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সংক্রমণও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এই ভাইরাসে মোট শনাক্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জনে। মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৪৪ জন।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় নতুন করে সরকারের আরোপ করা বিধি-নিষেধ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর করা হয়। এর আগে গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলো। কিন্তু কে মানছে কার কথা!
সরেজমিনে, রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরানবাজার, গুলিস্তান, নতুনবাজার, কমলাপুর, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহনের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি বালাই নেই।
স্টপেজগুলোয় বাস থামতেই হুড়াহুড়ি করে যাত্রীরা উঠছে। ওঠার সময় তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে না জীবাণুনাশক। মাস্ক পরা নিয়েও নেই সামান্যতম কড়াকড়ি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলাচল করছে বাস। এমন দৃশ্য দেখে বুঝার উপায় নেই, গণপরিবহনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে বাসে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গতকাল অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিআরটিএর সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।