সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩১শে জানুয়ারি

1613
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ের দিন ৩১শে জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবীর অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ৩১শে জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে এ বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।

বিচারিক কার্যক্রমের যুক্তিতর্ক পর্বের তৃতীয় দিনে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর আইনজীবীর পর ওসি প্রদীপের আইনজীবী আসামির স্বপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করলেও আদালতের কার্যদিবসের নির্ধারিত সময়ে তা অসমাপ্ত ছিল।

এর আগে সকাল সাড়ে নয় টায় প্রিজন ভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

পিপি ফরিদুল বলেন, বুধবার সকালে যুক্তিতর্ক পর্বের শেষ দিনে সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের যুক্তি খন্ডন করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এর আগে যুক্তিতর্ক পর্বের প্রথম দিন রবিবার ৬ জন আসামির এবং দ্বিতীয় দিন সোমবার ৭ জন আসামির আইনজীবী নিজেদের স্বপক্ষে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় দিনে প্রধান আসামি লিয়াকত আলীর আইনজীবী যুক্তিতর্ক পর্বে অংশগ্রহণ করলেও বক্তব্য প্রদান অসমাপ্ত ছিল। তৃতীয় দিনে তার (লিয়াকত) আইনজীবীর বক্তব্য শেষ করার পর আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবী যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। কিন্তু আদালতের কার্যদিবসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিচারিক কার্যক্রমে ৮ দফায় গত ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন এবং তাদের জেরা শেষ হয়। সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত। একই সাথে ৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে আজ ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য্য করেছিল আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই বছর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১লা ডিসেম্বর। পরে গেল ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন