ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়ীয়া কনভেনশন সেন্টার এলাকায় জেলা বিএনপি এবং জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একই স্থানে আগামীকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) সমাবেশ আহবান করায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে সমাবেশের আগ মুহূর্তে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএনপি’র শীর্ষ চার নেতাকে পুলিশ আটক করেছে বলে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লাকচি সাংবাদিকদের এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত বিএনপি’র নেতারা হলেন-জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুল মোল্লা কচি জানান, জেলা পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা গত ১৫ দিন আগে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। তারা আমাদের আবেদনে সারা দেয়নি। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারলাম ছাত্রলীগ নাকি গত কয়েকদিন আগে আমাদের সভাস্থলে একটি সভা আহ্বান করেছে। আমরা মনে করি, এটি একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। তিনি সমাবেশের আগ মুহূর্তে দলীয় নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে জেলা বিএনপির ৪ নেতাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুটি রাজনৈতিক দল একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশ আহ্বান করায় পুরো পৌর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যার কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পুরো পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কেউ যদি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলার পাশাপাশি জেলার বাহির থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স আনা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানা পুলিশ সুপার