নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব সদস্যসহ টিম ম্যানেজমেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা এ অভিনন্দন জানান।
নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের মাটিতে এর আগে কোনো ফরম্যাটেই জেতেনি টাইগার বাহিনী। সেই গেরো কাটল ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ দিয়েই, তাও আবার ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৫৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ১৬৯ রান করলে জয়ের জন্য ৪০ রানের টার্গেট পায় মুমিনুল হক বাহিনী।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ৪০ রানের টার্গেট দুই উইকেট হারিয়ে হেসেখেলে পেরিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭, মুমিনুল ১৩ ও মুশফিকুর রহিম ৫ রান করেন। শান্তকে আউট করেন কাইলে জেমিসন। এর আগে ৩ রান করা সাদমান ইসলামকে সাজঘরে পাঠান টিম সাউদি।
টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৬৯ রানে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই জোড়া উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত থাকা রস টেলরকে সাজঘরে পাঠান টাইগার পেসার এবাদত। এবাদতের বল সরাসরি স্টাম্পে আঘাত হানে টেলরের। ১০৪ বলে তিনি করেন ৪০ রান।
এ উইকেটের ফলে ৫ উইকেট পূর্ণ হয় এবাদতের। টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের এটি ৯ বছর পর প্রথম কোনো পাঁচ উইকেট শিকারের ঘটনা। টেলরকে বিদায় করার পর এবাদতের শিকারে পরিণত হন কাইলে জেমিসনও। শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। নামের পাশে কোনো রানই তুলতে পারেননি জেমিসন।
এরপর তাসকিন আহমেদ তুলে নিলেন রাচীন রবীন্দ্রর উইকেট। রবীন্দ্রর পর তাসকিন নিয়েছেন টিম সাউদির উইকেটও। এদের মধ্যে রবীন্দ্র ১৬ ও সাউদি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ৮ রান করা বোল্টকে ফেরত পাঠান মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে এ ইনিংসে ৪৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন এবাদত। তাসকিন নেন ৩ উইকেট।