সম্প্রতি র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সাথে দেখা দিয়েছে সম্পর্কের অসন্তোষ। তাই কূটনীতির ভুল চিহ্নিত করছে বাংলাদেশ। শুধরে নিতে চায় ত্রুটিও। চলতি বছর সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ শুরু করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
র্যাবের কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞায় ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে। বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার জন্যে ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে এখনও আসেনি জবাব। তবে তার দাবি এ নিষেধাজ্ঞা প্রভাবিত করবে না দুদেশের সর্ম্পক। চলতি বছর দেশে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ সামিট ফেব্রুয়ারিতে আসার কথা রয়েছে ইউএসএইড এর প্রধানের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিনেটর ক্যারি আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন এই বিষয়টির ওপর আলোচনার জন্য। আমরা চাই যে, তাদের সঙ্গে আরও বেশি এনগেজমেন্ট হতে।
তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয় বরং অন্যান্য দেশের সাথে সর্ম্পকের অসোন্তষ কাটাতে চেষ্টা করছে ঢাকা। যেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর কোন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা দেখবো কি কারণে তারা অসন্তুষ্ট। সেই তথ্যটা আসলে জেনে সেটা রেক্টিফাই করার চেষ্টা করবো। আর যদি তারা মিথ্যা তথ্যের উপরে অসন্তুষ্ট হয় তাহলে তাদের সঠিক তথ্য দেবো এবং বুঝাবো যে তোমরা মিথ্যা তথ্যের ওপর আছ। আমাদের ধারণা আমরা তাদের বুঝাতে সক্ষম হবো।
আগামীতে এই সব চেষ্টার পাশাপাশি ব্যক্তিকত সম্পর্ক উন্নয়নের কূটনীতিও উৎসাহিত করবে সরকার।