গত বছরের ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সিনেট কমিটি। এতে বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে র্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১০ কংগ্রেসম্যানের সই করা এই চিঠিতে সুপারিশ ছিল, এলিট বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের।
ক্ষমতায় এসেই মানবাধিকারকে বেশ গুরুত্ব দেয়, বাইডেন প্রশাসন। এতে গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালকসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন রাজস্ব বিভাগ।
এ বিষয়ে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব, পররাষ্ট্র ও সিনেট কমিটি, তিনটি বিভাগের সাথে একসাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে, বাংলাদেশকে। তার পরামর্শ, কাজে লাগাতে হবে বিভিন্ন আলোচনার ফোরামও।
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাজ করছে সরকার।
এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ৫টি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।