আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের জন্য খারাপ খবর।
দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে আসবে না। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য খারাপ খবর। তবে, গাধা যেমন পানি ঘোলা করে পানি খায়, বিএনপিও পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। কারণ তারা জানে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অর্জনে জনগণের ভোটে বিএনপি জয়লাভ করতে পারবে না। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এটা হলো তাদের এজেন্ডা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার বিষয়ে সংলাপে অনেক রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিয়েছে। এবারই আইনটা হতো। মহামারির কারণে সম্ভব হয়নি। এবার না হলে আগামীবার হবে। এবার সময় একেবারেই হাতে নেই। এ সময়ে আইন করার মতো পরিস্থিতি একেবারেই ছিল না। সার্চ কমিটি গঠন, যেটা এবার হচ্ছে, গতবারও হয়েছে। সেটাও আইনের বাইরে নয়, নিয়মের বাইরে নয়, সংবিধানের বাইরে নয়।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই নির্বাচনে আমরা নারায়ণগঞ্জে জয়লাভ করেছি। এবারও জয়লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনমতে সমর্থনের পাল্লা আমাদের প্রার্থীর দিকেই ভারী। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাট ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটা নিরসন করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।